বরিশালে ১০ মন ওজনের শাপলাপাতা মাছ নিয়ে কৌতুহল

বরিশালে ১০ মন ওজনের শাপলাপাতা মাছ নিয়ে কৌতুহল

গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত ১০ মন ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ বিক্রির জন্য বরিশাল নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে। বিশাল আকারের মাছটি নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে।

বুধবার নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য বাজারে মাছটি কেটে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বরিশালের পোর্ট রোড আড়ত থেকে কিনেছেন মো. রুবেল নামে একজন ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী। তিনি মাছটি পোর্ট রোডের নুসরাত মৎস্য আড়ত থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে পাইকরি ক্রয় করেন। এরপর মাছটি একটি ভ্যানে তুলে এবং জড়ি দিয়ে সাজিয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপন করে আগ্রহ সৃষ্টি করা হয়।  
নুসরাত মৎস্য আড়তের মালিক রুহুল আমীন জানান, গত সোমবার রাতে খুলনার রূপসা মৎস্য ঘাটের এ্যাকোয়া ফিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিশাল সাইজের শাপলাপাতা মাছটি ক্রয় করেন তিনি। 

রূপসা ঘাটের এ্যাকোয়া ফিশের মালিক রেজাউল মুন্সি জানান, গত সোমবার সকালে খুলনার ফিশিং বোট ত্রিরতœা থেকে তিনি ওই মাছটিসহ মোট ১০টি শাপলাপাতা মাছ ক্রয় করেন। ওই বোটটি ১৩ দিনের জন্য সমূদ্রে গেলে ১১ দিনের মাথায় জেলেদের জালে ১০টি শাপলাপাতা উঠে আসে। সোমবার সকালে ওই ফিশিং বোটটি রূপাসাঘাটে পৌঁছে। ২০ থেকে ২৫ ধরণের সামুদ্রিক মাছ ছিলো বোটটিতে। আহরিত ১০টি শাপলাপাতা মাছের মধ্যে দুটি বিক্রি করেন বরিশালের দুই আড়তদারের কাছে। যার মধ্যে ৪০০ কেজি ওজনের মাছটি কেনেন বরিশালের পোর্ট রোডের নুসরাত মৎস্য আড়তের মালিক রুহুল আমীন এবং ছোট অপরটি ক্রয় করেন নগরীর কাশীপুরের এক মৎস্য ব্যবসায়ী। বাকী ৮টি শাপলাপাতা মাছ বিক্রি করা হয় খুলনায়। 

বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের সদস্য জহির সিকদার জানান, মঙ্গলবার সকালে পোর্ট রোডে প্রকাশ্য নিলামে সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা কেজি দরে ১০ মন ওজনের মাছটি ক্রয় করেন রুবেল নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তুলনামূলক ছোট অপর মাছটি ক্রয় করেন নগরীর কাশীপুরের একটি ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী। বড় মাছটি গতকাল বুধবার পোর্ট রোডে খুচরা বিক্রি করা হবে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে জড়ি দিয়ে মাছটি সাজিয়ে ভ্যানে নিয়ে গতকাল মাইিকং করা হয় পুরো নগরীতে। এ কারণে ৪০০ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ নিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে